,

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুই দালালের হাতাহাতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর হাসাপাতালে আবারো শুরু হয়েছে দালালের লংঙ্কাকান্ড। তাদের উৎপাতে সাধারণ সেবা প্রত্যাশিদের খেতে হচ্ছে হিমশীম। গত সোমবারে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে আসা রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের টানা হেচড়া নিয়ে ঘটছে নিজেদের মধ্যে হাতা-হাতির ঘটনাও। দালাল নির্মুলে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট তৎপর থাকলেও কতিপয় ফার্মেসীর মালিকদের চত্রছায়ায় নির্বিগ্নে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে দালালরা। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দালালের তালিকা তৈরি করে মাঝে-মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দু-একটা দালালকে সাময়িক সাজা দিলেও পরে আর যেই-সেই। তবে তালিকায় নাম থাকায় পুরনোরা একটু গা-ডাকা দিয়ে কাজ করলেও উদ্ভব হয়েছে বেশ কিছু নবাগত দালালদের। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন ফার্মেসীর মালিক জানান, সদর হাসপাতালের আশে-পাশে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠা ছোট ছোট ঝুপড়ির মতো ফার্মেসী গুলোর প্রত্যেকটিরই ৩/৪ টা করে দালাল রয়েছে। ব্যবসা পরিচালনা করতে এদের কোন বিকল্প নেই। এদের মুলকাজ হল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে নির্ধারিত ক্লিনিক বা ফার্মেসীতে নিয়ে যাওয়া। বিনিময়ে বিক্রিত ঔষধের ২০% পেয়ে থাকেন দালালরা। সিজার রা গর্ভবতীর দায়িত্ব নিলে পেয়ে থাকেন বড় অঙ্কের মুনাফা। তবে সম্প্রতি দালালদের মাঝে গঠিত হয়েছে দু-তিনটা দল। গত সোমবার দালাল হারুন ও দালাল কাউছারের মাঝে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া নিয়ে ঘটে সংঘর্ষ। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঘটা এ সংঘর্ষ নিয়ে সাধারন রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। পরে স্থানীয়রা এর সমাধান করলেও বিষয়টি নিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, দালালের ব্যাপারে পুলিশ যতেষ্ট সচেতন রয়েছে। কখনো কাউকে হয়রানির অভিযোগ পেলে সাথে সাথে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর